পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮

আমার সন্তানের বাবা ভিসি! গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়

..
নিউজ-ভিউজ প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে অবশেষে মুখ খুললেন আফরিদা খাতুন ঝিলিক (১৯) নামে এক নারী কর্মচারী।

গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এমএলএসএস হিসেবে মাস্টার রোলভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত নারী কর্মচারী ঝিলিক তার শিশু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে আর্তনাদ করে ভিসি ভবনের সামনে সন্তানের অস্বীকৃতি চান।

ভিসি ভবনের সামনে ওই নারীর কান্নার বিষয়টি কয়েকজন ভিডিও করেন। ২১ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ঝিলিক তার এক বছর বয়সী কন্যা সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা চান।

এ সময় ঝিলিক ভিসিকে তার সন্তানের বাবা দাবি করে চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘আমার সন্তানের বাবা ভিসি। এই সন্তানের সঙ্গে ভিসির চেহারার অনেক মিল আছে।’

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮

২০ লাখ টাকা চাঁদার জন্য ছাত্রলীগ নেতা রনির ‘গুণ্ডামি’ (ভিডিও)

...
চট্টগ্রামে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতকারী সেই ছাত্রলীগ নেতা মো. নুরুল আজিম রনির আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ইউনিএইড নামে একটি কোচিং সেন্টারের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়াকে (৩৮) তার অফিসে চড়, থাপ্পড় মারতে দেখা গেছে।২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে রাশেদ মিয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগও উঠেছে রনির বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পাঁচলাইশ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত নুরুল আজিম রনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাশেদ মিয়ার পক্ষ থেকে রনি ও তার সহযোগী নোমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের সত্যতা পরিবর্তন ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ।
ওসি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ইউনিএইড নামে একটি কোচিং সেন্টারের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া নুরুল আজিম রনি ও নোমান চৌধুরী রাকিবের নামে একটি অভিযোগ জমা দিয়ে গেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।

এর আগে চলতি বছরের ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহেদ খানকে তার অফিস কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা রনির প্রকাশ্যে কিল-ঘুসি মেরে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো।
চট্টগ্রামের এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অস্ত্রবাজি করারও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাবাসও করেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) পাঁচলাইশ মডেল থানায় দায়ের করা এজাহারে বাদি ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও নোমান চৌধুরী রাকিব জোর পূর্বক বাদির অফিস ব্যবহার করতেন। বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে অনুষ্ঠানের কথা বলে জোরপূর্বক টাকা পয়সা নিয়ে যেতো।

রাশেদ মিয়া তার অভিযোগে দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন পালিয়ে পালিয়ে অফিস-বাসা যাতায়াত করছিলেন। কিন্তু ১৩ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মুরাদপুরের মাজার এলাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রনির মুরাদপুরস্থ এলুমিনিয়াম গলির বুড়ি পুকুর পাড়ে।  সেখানে তাকে চাঁদার ওই ২০ লাখ টাকার দাবিতে বেদম মারধর করা হয়।

রাশেদ মিয়ার অভিযোগ, টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে বলা হয়, হয় টাকা দিবি, নয় জানে মেরে ফেলবো। এ সময় হকিস্টিক দিয়ে মাথায় বাড়ি দিলে মাথা সরিয়ে নেয়। কিন্তু বাম কানে আঘাত লেগে এখন ওই কানে কিছুই শুনেন না তিনি।

পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে এগারটার দিকে রাশেদের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসায় নিয়ে গিয়ে রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ৩৫ হাজার টাকা ও তার (রাশেদ) এবং তার স্ত্রীর পাসপোর্ট নিয়ে আসে।
ফেরার সময় রাশেদকে তুলে নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের পাশে ফেলে যায় বলেও এজাহারে দাবি করেন রাশেদ।
ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদ মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবর্তন ডটকমকে ফোনে বলেন, আমি দীর্ঘদিন রনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গের অত্যাচারে জর্জরিত।
রনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাই মুখ বুঝে সব সহ্য করে আসছিলাম। কিন্তু এখন একসাথে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দেয়া এবং আমাকে মারধর করার ঘটনা সহ্যের বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে আমি তাদের মারের কারণে বর্তমানে আমার বাম কানে শুনতে পাইনা।
তাই আমি বাধ্য হয়েছি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে।

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

নো তত্ত্ব কথা! আজ শুধুই গল্প!


সোহেলী জান্নাত
(ফেসবুক পোস্ট)

একদেশে এক রাজা ছিলো, যার ছিলো নতুন পোশাকের প্রতি অসম্ভব ফ্যাসিনেশান! প্রতিদিন পরার জন্য নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক  তার চাই ই চাই !  রাজার এই নিত্যকার বায়না মেটাতে মেটাতে রাজ্যের দর্জিরা একটাসময় ক্লান্তহয়ে পড়লো! রাজার অনুরোধ, শাসন কিছুতেই আর তাদের মাথা দিয়ে নতুন ডিজাইন বেরোলো না।
তখন রাজা তার বিশেষ খায়েস পুরনে নতুন পোশাকের জন্য অর্ধেক রাজ্য আর পুরো রাজকন্যা উপহার ঘোষণা করলেন।এরই সুযোগ নিল দুষ্ট কিছু লোক। তারা রাজাকে গিয়ে বল্লো আমরা আপনাকে নতুন ডিজাইনের পোশাক বানিয়ে দেব, কিন্তু আমাদের একশত ভরি সোনা রুপা আর নির্জন স্থান দিতে হবে!
রাজা তখন  পোশাকমোহে অন্ধ! আগামাথা না ভেবেই বললেন তথাস্তু!
তো এভাবে মাস গরিয়ে গেলো, কিন্তু নতুন পোশাক আর আসে না। তখন রাজা তার সেনাপতিকে পাঠালেন নতুন পোশাকের খোঁজ নিতে। সেনাপতি সেখানে গিয়ে দেখেন পোশাক টোশাক কিছুই নেই, কেবল এক লোক পান চিবুতে চিবুতে খালি চরকা কেটে চলেছে।
সেনাপতি রাগে আগুন হয়ে বললেন হতচ্ছাড়ার দল! এত সোনারুপা নিলি, রাজার পোশাক কই? গর্দান নেব এক্ষুণি!

পয়েটিক জাস্টিস : 'চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার'

..
ড. ফারজানা মাহবুবা
(ফেসবুক পোস্ট)

কোটা নিয়ে দেশ জুড়ে যে আন্দোলন হয়ে গেলো
প্রায় জায়গায় একটা ব্যানার দেখে বেশ হাসি পেলো।
অনেক ছেলে মেয়েরা এই লাইনটা লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে উঁচু করে ছিলো।
লাইনটা ছিলো 'চেয়েছিলাম কোটা সংস্কার, হয়ে গেলাম রাজাকার'!

আমার হাসি পেয়েছে,
কারন ব্যপারটা অনেকটা এমন।

আপনার পাশের পাড়ায় আগুন লেগেছে,
আপনি টিভি দেখতে ব্যস্ত,
আগুনে মানুষ পুড়ে যাচ্ছে, ঘর বাড়ি পুড়ে যাচ্ছে,
আপনি শুনতে পাচ্ছিলেন,
কিন্তু আপনি ঐ যে টিভি দেখতে ব্যস্ত ছিলেন।
উলটো মানুষের চিৎকার চেঁচামেচিতে বিরক্ত হয়েছিলেন খুব।
রেগে গিয়ে বলেছিলেন,
আগুন লাগলেই এমন আকাশ মাথায় তুলতে হয় নাকি?
পাশের পাড়ায় আগুন লেগেছে,
আপনার কী?
আপনির জন্য টিভি দেখাটা দরকারী ছিলো।
এখন যখন আগুন ছড়াতে ছড়াতে আপনার ঘরে এসে পৌঁছেছে,
এখন আপনি চিৎকার শুরু করেছেন
বাঁচাও!
বাঁচাও!

আমি তাই হাসছি।


মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

ধর্ষণ বৃদ্ধি রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থার করাপশনের ফলাফল

ড. ফারজানা মাহবুবা
(ফেসবুক পোস্ট থেকে)
আসিফা'র কথা সব জায়গাতেই দেখছি।
ইন্ডিয়া নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যে 'মুসলিম' বাচ্চা মেয়েটাকে মন্দিরের ভিতরে আটকে রেখে কয়েকজন 'হিন্দু' গ্যাং রেইপ করে কয়েকদিন পর শেষে গলা চিপে আর মাথায় পাথর দিয়ে থেঁতলে দিয়ে
মেরেই ফেলেছে বাচ্চাটাকে। 

কিন্তু পূজা'র কথা জানেন?
বাংলাদেশে যে 'হিন্দু' বাচ্চা মেয়েটাকে 'মুসলিম' সাইফুল নামের এক লোক রেইপ করার সুবিধার জন্য ব্লেড দিয়ে কেটে বড় করে নিয়েছে বাচ্চাটার প্রাইভেট পার্ট,
রেইপ করার সময় গলা চেপে ধরায় যার ব্রেইনে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ থাকায় যে অজ্ঞান হয়ে যায়,
পুরো ঘটনা এতটাই বিভৎষ,
পুজা'কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তার Dr. Sonia Zemin এর নিজের ফেইসবুকে লেখা ফার্ষ্ট হ্যান্ড বর্ণনা পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে আমার রীতিমত সিক ফীল হচ্ছিলো।

আমি 'মুসলিম' আর 'হিন্দু' শব্দ দু'টো ইনভার্টেড কমা'র ভিতর দিয়েছি।
কারন আছে।
বলছি।

হাত হারানো রাজীব : যে মৃত্যুতে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ


হাত হারানো হতভাগ্য ছেলেটি.... চলে গেল রাজিব...

 
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়
বাবাকে হারিয়েছিলেন তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন।

এর পর ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহকে নিয়ে জীবনযুদ্ধে নেমেছিলেন একুশ বছরের এই এতিম।

কখনও খালার বাসায় থেকে, কখনও টিউশনি করে ও কাজ করে নিজে পড়াশোনা করেছেন এবং দুই ভাইকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন।

রাজীবের স্বপ্ন ছিল- বিসিএস দিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে নামকরা শিক্ষক হবেন। ছোট দুই ভাইকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করবেন। থাকবেন তিন ভাই মিলে। অন্যান্য আত্মীয়স্বজন- যাদের জীবন অন্ধকারের মুখে, আলোকিত করবেন তাদেরও।

কিন্তু সেই স্বপ্নদ্রষ্টা রাজীবই রাজধানীতে দুই বাসচালকের নিষ্ঠুর খেয়ালখুশির শিকার হয়ে প্রথমে হাত হারিয়েছেন। এরপর ১৪ দিন জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে সোমবার রাতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

রাজীব হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে।

গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের গেটে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় তার হাতটি সামান্য বাইরে বেরিয়ে ছিল। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে।

দুই বাসের প্রচণ্ড চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সেই হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।

শমরিতা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাজীবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সাময়িক উন্নতির পর গত সোমবার থেকে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রাজীবের মস্তিষ্ক অসাড় হয়ে যায়। সেই থেকে আর জ্ঞান ফিরেনি তার।

মৃত্যুর আগে অজ্ঞান অবস্থায় রাজীবকে রাখা হয়েছিল ঢামেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে। ভাইয়ের জ্ঞান ফেরার আগে আইসিইউর সামনে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে দেখা গেছে রাজীবের ছোট দুই ভাই হাফেজ মেহেদি হাসান (১২) ও হাফেজ আবদুল্লাহকে (১১)।

সেখানে তারা থেমে থেমে দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন যেন তাদের ভাই বেঁচে ফেরেন। প্রায় প্রতিদিনই তারা স্বজনদের কাছে জানতে চেয়েছে- ‘ভাই ভালো হবে তো?’ কিন্তু এতিম মেহেদি ও আবদুল্লাহকে রেখে চলে গেলেন রাজীব।

আইসিইউর সামনে কথা হয়েছিল রাজীবের ছোট ভাই হাফেজ মেহেদি হাসানের সঙ্গে। সে বলছিল, মা-বাবা মারা যাওয়ার সময় সে ও তার ছোট ভাই আবদুল্লাহ খুব ছোট ছিল। মা-বাবা বলতে তারা বড় ভাই রাজীবকেই বুঝত।

মেহেদি জানিয়েছিল, দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর বড় ভাই রাজীবের জন্য দুই ভাই মিলে কোরআন পড়েছে। মসজিদে দোয়া পড়িয়েছে। ওই সময় ভাইয়ের কিছু হলে আমরা বাঁচব না- বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে ভাইয়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিল এ কিশোর হাফেজ।

রাজীবের খালা জাহানারা বেগম জানান, রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মা ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারায়। এর পর মতিঝিলে খালার বাসায় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে তিতুমীর কলেজে ভর্তি হয়। পরে সে যাত্রাবাড়ীতে মেসে ওঠে। ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আবদুল্লাহ সেখানকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় সপ্তম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সে টিউশনি করে নিজের খরচ এবং একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে ছোট ভাইদের খরচ জোগাত। খুব মেধাবী ছাত্র সে। স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হয়ে নামকরা শিক্ষক হবে।

সোমবার রাতে ঢামেকের চিকিৎসকরা স্বজনদের রাজীবের মৃত্যুর কথা জানান। আজ সকালে রাজীবের লাশ গ্রামের বাড়ি বাউফল নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে শৈশবে হারানো বাবা-মায়ের কবরের পাশেই শায়িত হবেন সংগ্রামী তরুণ রাজীব।

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

ছাত্রলীগ নেত্রীর গলায় জুতার মালা (ভিডিও)


বিডি নিউজ-ভিউজ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেত্রী ইশরাত জাহান এশার গলায় জুতার মালা পরিয়ে শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরুর পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এশাকে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ছাত্রী জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে এশা হলের তিন ছাত্রীকে একটি কক্ষে ডেকে নির্যাতন করেন। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের চিৎকার শুনে সেখানে যান উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মোর্শেদা খানম। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোর্শেদা কক্ষের জানালার কাচে লাথি মারলে তার পা কেটে যায়।

খবর পেয়ে অন্য ছাত্রীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এশাকে মারধর করে তাকে আটকে রাখেন। ছাত্রী নির্যাতন করায় তার বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ ছাত্রীরা তাদের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। দিবাগত রাত তিনটা ৫০ মিনিটে সুফিয়া কামাল হলের ভেতরে ছাত্রীরা ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর কুশপত্তলিকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে।

ছাত্রী নির্যাতনের খবর ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে হাজারো শিক্ষার্থী কবি সুফিয়া কামাল হলের সামনে জড়ো হন। এরপর আজ বুধবার ভোরে হল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

বিডি নিউজ এন্ড ভিউজে সবাইকে স্বাগতম

বিডি নিউজ এন্ড ভিউজে সবাইকে স্বাগতম

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮