পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮

মাদ্রাসা সুপারের মাথায় মল ঢেলে উল্লাস, ফেসবুকে তোলপাড় (ভিডিও)




 মাদ্রাসা সুপারের মাথায় মল ঢেলে উল্লাস, ফেসবুকে তোলপাড় (ভিডিও)

প্রকাশ : ১৩ মে, ২০১৮
ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্ব
মাদ্রাসা সুপারের মাথায় মল ঢেলে উল্লাস, ফেসবুকে তোলপাড় (ভিডিও)
বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঠালিয়া ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু হানিফার (৫০) মাথায় মল ঢেলে অপদস্থ করে উল্লাস করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে এক প্রার্থীর পক্ষাবলম্বনের অভিযোগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আবু হানিফা মসজিদ থেকে বের হলে তার মাথায় মলমূত্র ঢেলে দেয় পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর খন্দকার ও তার সহযোগীরা। এসময় মলমূত্র ঢেলে তারা উল্লাস করে। এ ঘটনায় রবিবার আবু হানিফা বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপদস্থ হওয়া আবু হানিফা ওই এলাকার মৃত ক্বারী আরশেদ হাওলাদারের ছেলে।

অভিযুক্তরা হলো জাহাঙ্গীর খন্দকার, আবু হানিফার ছোট ভাই জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার, মো. রেজাউল খান, মো. মিনজু, সোহেল খন্দকার ও মিরাজ হোসেন। এরা সকলেই ওই এলাকার বাসিন্দা।

আবু হানিফা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাঠালিয়া ইসলামিয় দারুসসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আবু হানিফা সভাপতি প্রার্থী এইচ এম মজিবর রহমানের পক্ষ নেন। নির্বাচনে মজিবর রহমান বিজয়ী হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর খন্দকার আবু হানিফার উপর ক্ষুব্ধ হন।

বুধবার, ২ মে, ২০১৮

একদিন একরাত (কবিতা)

..
একদিন দূরের ঐ পাহাড়ে
একদিন দূর মেঘের দেশে
একদিন অন্ধকার গুহায়
একদিন ঝর্নার পাদদেশে
একদিন হাত ধরে পাশাপাশি
একদিন সমুদ্রের লোনা জলে
একদিন সকাল দুপুর বিকেল
একদিন পাখি হয়ে জলে স্থলে।

চুপিসারে চেয়েছিলে সমুদ্র স্নান
হাঁটবে পায়ে পা রেখে বালুচরে
জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো অম্লান
সাজিয়ে নেবে অন্দরে বন্দরে।

পাত্রী চাই (সত্যি গল্প)

সোহেলী জান্নাত

পাত্রী চাই (১):

#গল্প
(ঘটনাটি অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু সাইবার ক্রাইম আইনে মানহানির মামলায় ফেঁসে যেতে পারি ভেবে গল্প নামে চালিয়ে দিচ্ছি! নইলে গল্প লেখার দু:সাহস আমার নেই!)

ক্লাসমেট বন্ধু আমার সদ্য বিসিএস পাশ করে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছে।আমাকে ফোন করে জানায় নি।ফেসবুকে নিজের পরিচয়ের জায়গায় যখন গোটা গোটা হরফে লিখে দিয়েছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অফ.....!  তখনই জানতে পেরেছি। খুব খুশিও হয়েছি, আবার অবাকও! ব্যাকবেঞ্চার ক্যাবলাকান্ত কিছুটা মিনমিনে বন্ধু আমার কী করে এই অসাধ্য সাধন করলো!
যাইহোক! করেছেতো! মিনমিনে বলায় আবার কেউ রাগ করবেন  না।  একটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বলেছি।সে ঘটনা পরে একদিন বলা যাবে। মূল কথায় আসি।

তো হটাতই একদিন বন্ধুর ফোন পেলাম।
:দোস্ত কেমন আছিস!
শিহাব বলছি।( ছদ্মনাম)
খুব সাবলীল ভঙ্গী।আমাকে তুই করে বলায় অবাক হলাম কিছুটা! পুরো ভার্সিটি লাইফে আমিতো দূরের কথা অন্যকোনো মেয়েকে তুই বলার মত আত্মবিশ্বাসী ছেলে সে নয়! বুঝলাম একটা  চাকুরি অনেক কিছু পরিবর্তন করে দিয়েছে।

 তার দৌড় ছিল ক্লাসের পিছনে বসে মেয়েদের ওড়না পড়ার ঢং বিশ্লেষণ করে ক্লাসটাইম পার করায়!  মেয়েরাও তাকে পাত্তা দিত না খুব। কিন্তু এখন দেয়।শিহাবের একটা লুতুপুতু হাবিজাবি স্টাটাসে শতাধিক কমেন্ট পড়ে।লাইকের সুনামি ঘটে যায়! এবং বলা বাহুল্য অধিকাংশই মেয়ে। শিহাব এখন কাঙ্খিত পাত্র! ওর ঘোর কালো পাথুরে রঙ এখন ড্যাশিং কালার! এমন হাড্ডিমাস ফিগার মেধাবীদের হয়েই থাকে! এ আর এমন কী!

অত:পর, আমিও হাসি মুখে প্রতিউত্তর করলাম
:কী খবর! কেমন আছ? নতুন জব! কেমন লাগছে! মিস্টি খাওয়ালেনা কিন্তু!
: দোস্তো আগে বিয়েটা দিয়ে দাও এবার! একবারেই মিস্টি খাওয়াই!( আমার তুমি শুনে শিহাবো আগের রূপে ফিরে গেছে।তুমি করেই বলছে!)
: বিয়ে করতে চাও? ভালোতো! তা তোমার আবার মেয়ের অভাব নাকি! ফেসবুকে দেখলাম লাইন লেগে গেছে!
:না দোস্ত! যেন তেন মেয়েকি আর বিয়ে করা যায়! একটা ভালো মেয়ে খুঁজে দাও।তুমি ইউনিভার্সিটিতে আছ দেখে তোমাকেই বলছি।
: আচ্ছা! তা কেমন মেয়ে চাও?
: দোস্তো তোমার মতো মেধাবী, আত্মবিশ্বাসী,  স্বাবলম্বী! প্রথম শ্রেনীর চাকুরী করা হলে ভাল হয়! সংসারে সাপোর্ট পাবো।
 তুমিতো আগেই বিয়ে করে ফেলেছো, নইলে ইউনিভার্সিটিতে তুমি কিন্তু আমার ক্রাশ ছিলে! ভয়ে সাহস করে বলতে পারি নি!
এই কথা শুনে শিহাবের প্রতি যে নেগেটিভ ধারণা ছিলো সেটি নিমিষেই পালটে গেলো! নাহ! ছেলেটাতো ভালোই! মেয়েদের দেহ নয়, মেধার মুল্যায়ণ করছে!( বলতে লজ্জা পাচ্ছি, তবু বলি, শিহাবের উপযুক্ত প্রশংসা এবং আমি ক্রাশ ছিলাম যেনে কিঞ্চিত খুশিও হয়েছি।)

তবু ক্লিয়ার হবার জন্য আবারো জিজ্ঞাসা করলাম :সুন্দরী চাও না? মেয়ের বাপের টাকা পয়সা চাও না?

: নাহ দোস্ত।  সুন্দর মোটামুটি হলেই হবে।বেশি সুন্দরে ঝামেলা! গাছের পাঁকা বড়ইয়েই ঢিল পরে বেশি!
আর বাপের টাকা দিয়ে আমার কী হবে! আমি দিন মজুরের ছেলে! বড়লোকের দুলালী হলে শেষে আমাকেই খোঁটা দেবে।আব্বা মাকে সম্মান করবে না।ভাইবোনদের ভালবাসবে না।

একটানে বলে গেলো কথাগুলো! ওর এই মনোভাব খুব ভালো লাগলো আমার। বাহ! ছেলেটা পরিবারের কথা কি সুন্দর করে ভাবছে!
ওকে বললাম:
: ঠিক আছে বন্ধু, তোমার জন্য মেয়ে আমি দেখবো।